নাসিরুদ্দীন হোজ্জা খুব যত্ন করে একটা খাসি পুষত। নাদুস-নুদুস সেই খাসিটার ওপর পড়শিদের একবার বদনজর পড়ল। একদিন কয়েকজন মিলে হোজ্জার বাড়িতে গিয়ে হাজির হল।
হোজ্জাকে ডেকে বলল: “ও মোল্লা সাহেব, বড়ই দুঃসংবাদ। আগামীকাল নাকি এ দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। হায়! এত সাধের ঘরবাড়ি, সহায়সম্পদ, এমনকি আপনার ওই প্রিয় খাসিটাও থাকবে না!” হোজ্জা বুঝলেন তাদের মতলবখানা কী? কিন্তু এতগুলো লোকের বদনজর থেকে খাসিটাকে রক্ষা করা সহজ ছিল না।
তাই তিনি মুচকি হেসে পড়শিদের বললেন,তাই নাকি? তাহলে দুনিয়া ধ্বংসের আগে খাসিটা জবাই করে খেয়ে ফেলাই ঠিক কাজ হবে। তোমরা কী বলো? মতলববাজ পড়শিরা তো এ সুযোগের অপেক্ষায়ই ছিল। তাই তারা মোল্লার প্রস্তাবে খুশি হল এবং খাসিটা জবাই করে মহা ধুমধামে পেট পুরে খেল। তারপর গায়ের জামা খুলে হোজ্জারই বৈঠকখানায় সবাই ঘুমিয়ে পড়ল।
ঘুম থেকে উঠে সবাই দেখল তাদের জামা উধাও! সারা ঘর তন্নতন্ন করে জামা খুঁজতে লাগল তারা। হোজ্জা তখন বললেন, ভাইয়েরা! দুনিয়াই যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে জামা-কাপড় দিয়ে কী হবে? তাই আমি সবার জামা আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছি!