দেনা-পাওনা

দেনা-পাওনা

এক চণ্ডীগড়ে ৺চণ্ডী বহু প্রাচীন দেবতা। কিংবদন্তী আছে রাজা বীরবাহুর কোন্‌ এক পূর্বপুরুষ কি একটা যুদ্ধ জয় করিয়া বারুই নদীর উপকূলে এই মন্দির স্থাপিত করেন, এবং পরবর্তীকালে কেবল ইহাকেই আশ্রয় করিয়া এই চণ্ডীগড় গ্রামখানি ধীরে…
দত্তা

দত্তা

প্রথম পরিচ্ছেদ সেকালে হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুলের হেডমাস্টারবাবু বিদ্যালয়ের রত্ন বলিয়া যে তিনটি ছেলেকে নির্দেশ করিতেন, তাহারা তিনখানি বিভিন্ন গ্রাম হইতে প্রত্যহ এক ক্রোশ পথ হাঁটিয়া পড়িতে আসিত। তিনজনের কি ভালবাসাই ছিল! এমন দিন ছিল না,…
চরিত্রহীন

চরিত্রহীন

এক পশ্চিমের একটা বড় শহরে এই সময়টায় শীত পড়ি-পড়ি করিতেছিল। পরমহংস রামকৃষ্ণের এক চেলা কি-একটা সৎকর্মের সাহায্যকল্পে ভিক্ষা সংগ্রহ করিতে এই শহরে আসিয়া পড়িয়াছেন। তাঁহারই বক্তৃতা-সভায় উপেন্দ্রকে সভাপতি হইতে হইবে এবং তৎপদমর্যাদানুসারে যাহা কর্তব্য তাহারও…
চন্দ্রনাথ

চন্দ্রনাথ

প্রথম পরিচ্ছেদ চন্দ্রনাথের পিতৃ-শ্রাদ্ধের ঠিক পূর্বের দিন কি একটা কথা লইয়া তাহার খুড়া মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের সহিত তাহার মনান্তর হইয়া গেল। তাহার ফল এই হইল যে, পরদিন মণিশঙ্কর উপস্থিত থাকিয়া তাঁহার অগ্রজের পারলৌকিক সমস্ত কাজের তত্ত্বাবধান…
অরক্ষণীয়া

অরক্ষণীয়া

এক মেজমাসিমা, মা মহাপ্রসাদ পাঠিয়ে দিলেন—ধরো। কে রে, অতুল? আয় বাবা আয়, বলিয়া দুর্গামণি রান্নাঘর হইতে বাহির হইলেন। অতুল প্রণাম করিয়া পায়ের ধূলা গ্রহণ করিল। নীরোগ হও বাবা, দীর্ঘজীবী হও। ওরে ও জ্ঞানদা, তোর অতুলদাদা…
নদীতীরে

নদীতীরে

তারপর আমি ইন্দিরা গান্ধীকে জিজ্ঞেস করলুম, আপনি বই পড়তে ভালোবাসেন? উনি একটু হেসে বললেন, ছেলেবেলায় আমি বইয়ের পোকা ছিলুম। —এখন বই-টই পড়ার সময় পান না বোধ হয়? সে রকম সময় পাই না, তা ঠিকই। তবে,…
অতনু ফিরে যাবে

অতনু ফিরে যাবে

এটা কি আগে এখানে ছিল, না ছিল না? একটা বেঁটে মতো গম্বুজ, তার সবদিকই নানারকম পোস্টারে মোড়া, একটা বড় ফিল্মের পোস্টারে এক যুবতী দু’চোখ দিয়ে হাসছে। এক পাশে ছিল ধানক্ষেত আর জলা, রাস্তার অন্যপাশে দোকানপাট।…
ভালোবাসা খণ্ডকাব্য

ভালোবাসা খণ্ডকাব্য

মধ্য দিনমানে ঈষৎ কম আলো পুকুরে ঝাপ দেয় মাছরাঙা বাতাস উন্মন, কাজ-ভাঙা! মাঠের শেষ রেখা নীলের মতো কালো একলা কেউ হাঁটে টোকা মাথায় পিপড়ে ভেসে যায় ঝরা পাতায় জানলা খোলা আমি কীসের ডাক শুনে দাঁড়াই…
নীরা, হারিয়ে যেও না

নীরা, হারিয়ে যেও না

এখানে আগুন বেশ তরমুজের মতো ঠাণ্ডা, এই দৃশ্যে দু’দশদিন থেকে যাওয়া যায় সিঁড়িগুলি মখমলের মতো কাম্য, এই সিঁড়ি নেমে গেছে কোনো এক লুপ্ত শতাব্দীর সানুদেশে কুসুম কাঁটায় বেঁধা প্রজাপতি, কাচের জানলায় এক পথভোলা অলি ওদের…
নীরা তুমি কালের মন্দিরে

নীরা তুমি কালের মন্দিরে

চাঁদের নীলাভ রং, ওইখানে লেগে আছে নীরার বিষাদ ও এমন কিছু নয়, ফুঁ দিলেই চাঁদ উড়ে যাবে যে রকম সমুদ্রের মৌসুমিতা, যে রকম প্রবাসের চিঠি অরণ্যের এক প্রান্তে হাত রেখে নীরা কাকে বিদায় জানালো আঁচলে…