ফুটেছ গোলাপ তুমি কলকাতার কিচেন গারডেনে। বিলক্ষণ অন্যায় করেছ। তুমি জানো, এখন খাদ্যের খুব অনটন। এখন চিচিঙ্গে, লাউ, ঢ্যাঁড়শের উদ্দেশে ধাবিত জনতাকে ফেরানো যাবে না। অন্য দিকে। বাড়ির হাতায়, শীর্ষে, বারান্দায়, ঝুলন্ত কারনিসে যেখানে যেটুকু…

সকলকে জ্বালিয়ে কোনো লাভ নেই। তার চেয়ে বরং আজন্ম যেমন জ্বলছ ধিকিধিকি, একা দিনরাত্রি তেমনি করে জ্বলতে থাকো, জ্বলতে-জ্বলতে ক্ষয়ে যেতে থাকো, দিনরাত্রি অর্থাৎ মুখের কশ বেয়ে যতদিন রক্ত না গড়ায়। একদিন মুখের কশ বেয়ে…

।।১।। কথা ছিল, ঘরে যাব; ‘ঘর হৈল পর্বত প্রমাণ’। চেয়ে দেখি দিগন্ত অবধি দুপুরেই এঁকে দিচ্ছ সমস্ত স্বপ্নের অবসান। বয়সের নদী– আঁজলায় সামান্য জল তুলে ধরে। বুকের ভিতরে যতখানি জল, তার চতুর্গুণ নুড়ির ছলনা। খরায়…

অকস্মাৎ কে চেঁচিয়ে উঠল রক্তে ঝাঁকি দিয়ে “নিলাম, নিলাম, নিলাম!” আমি তোমার বুকের মধ্যে উঁকি মারতে গিয়ে চমকে উঠেছিলাম। অথচ কেউ কোথাও নেই তো, খাঁ-খাঁ করছে বাড়ি, পিছন দিকে ঘুরে দেখেছিলাম, রেলিং থেকে ঝাঁপ দিয়েছে…

সর্বদা দেখি না, শুধু মাঝে-মাঝে দেখতে পাই। যেমন গভীর রাত্রে, অন্ধকারে, ক্বচিৎ কখনো দুঃখের তাপিত বুক, বুকের উন্মত্ত ওঠানামা করতলে ধরা পড়ে, যেমন সমস্ত কিছু আঙুলের চক্ষু দিয়ে দেখা যায়! সেইমতো। যে-শরীর কোথাও দেখিনি, তার…

হুশ করে নক্ষত্রলোকে উঠে যেতে চাই কিন্তু তার জন্য, মহাশয়, স্প্রিং লাগানো দারুণ মজবুত একটা শব্দের দরকার। সেইটের উপরে গিয়ে উঠতে হবে। প্রাণপণে বাতাস টেনে ফুসফুস ফুলিয়ে নক্ষত্রলোকের দিকে গর্বিত ভঙ্গিতে একবার চোখ রাখতে হবে।…

ওপাড়াতে আজব খবর তোমরা কি কেউ জানো? ঘোড়া নাকি ডিম পেড়েছে কেউ কী বলো মানো? কোকিল নাকি পাহারা দেয় সারাটা রাত জেগে, কথা শুনে সিংহ মামা তাইতো ওঠে রেগে। আসলো ঘোড়া দলে দলে দেখবে এবার…