ছেলেবেলার গল্প

ছেলেবেলার গল্প

দশ এগারো বছর বয়সে বয়রা হয়ে গেলেন হাফেজমামা। কানে একদমই শোনেন না। তবু তাঁর দুরন্তপনায় বাড়ির লোক অতিষ্ঠ। মেজোনানা জাহাজের সারেঙ। বাড়িতে পুরুষ বলতে কেউ নেই। হাফেজমামাকে শাসন করার কেউ নেই। তিনি তাঁর মতো দুরন্তপনা…
বন্ধুবান্ধব

বন্ধুবান্ধব

আফজালকে প্রথম কবে দেখি! দিনটির কথা পরিষ্কার মনে আছে। তিয়াত্তর সালের শেষ দিককার কথা। অবজারভার ভবনের দোতলায় ‘দৈনিক পূর্বদেশ’ পত্রিকার অফিস। পূর্বদেশের ছোটদের পাতার নাম ‘চাঁদের হাট’। সেই পাতা ঘিরে একটি সাহিত্যের অনুষ্ঠান। হাতে লেখা…
ব্লেড সস্তা বলে দাড়ি নেই

ব্লেড সস্তা বলে দাড়ি নেই

ভালোবাসা কারে কয়? –যদি আবার প্রেমে পড়া যেত, তাহলে বলা যেত ভালোবাসা কারে কয়। সময় সময় ভালোবাসার অর্থ বদলায়। তবে জ্যামিতিকভাবে ভালোবাসার সংজ্ঞা হতে পারে−একটি ছেলে ও একটি মেয়ের হাতের রেখা যদি পরস্পর একদিকে যায়,…
আমার যুদ্ধ

আমার যুদ্ধ

সইয়ের বাড়িতে বসে খবরটা মা পেয়ে গেল। আমাদের বাড়ি লুট হয়ে গেছে। গ্রামে মিলিটারি এসেছে, জ্বালাও পোড়াও করেছে, মানুষ মেরেছে। কিন্তু আমাদের বাড়িটা মিলিটারিরা লুটপাট করেনি। কে করেছে? লুট হয়ে যাওয়া বাড়িতে ফিরেই আমি তা…
আমি, আমার মা ও কবরের অন্ধকার

আমি, আমার মা ও কবরের অন্ধকার

সইয়ের বাড়িতে বসে খবরটা মা পেয়ে গেলেন। আমাদের বাড়ি লুট হয়ে গেছে। গ্রামে মিলিটারি এসেছে, জ্বালাও পোড়াও করেছে, মানুষ মেরেছে। কিন্তু আমাদের বাড়িটা মিলিটারিরা লুটপাট করেনি। কে করেছে? লুট হয়ে যাওয়া বাড়িতে ফিরেই আমি তা…
আসলে কী ঘটেছিল

আসলে কী ঘটেছিল

এই বাড়ির কাজের লোকটির নাম বারেক। তিরিশ একত্রিশ বছর বয়স। এখনও বিয়ে করেনি। রোগা পটকা কেংলা ধরনের। চেহারায় মিষ্টতা আছে, চোখ দুটো সুন্দর। এক বালতি পানি এনে দরজার বাইরে একপাশে রাখল সে। সন্ধ্যা প্রায় হয়ে…
কে আসে

কে আসে

কে আপনি, কে? এই যে, এই যে আপনি, কালো আলখাল্লা পরে আমার বুক বরাবর এসে দাঁড়িয়েছেন। কে আপনি? আপনার মুখটা আমি দেখতে পাচ্ছি না। আগের দিনকার শাহজাদিদের মতো কালো নেকাবে মুখ ঢেকে রেখেছেন, কিন্তু আকৃতিতে…
গাহে অচিন পাখি

গাহে অচিন পাখি

হাওয়ায় কী একটা ভাজা-পোড়ার গন্ধ ওঠে। ভারি মনোহর। সেই গন্ধে মাছচালার ধুলোবালি থেকে মুখ তোলে বাজারের নেড়িকুত্তাটা। তারপর প্রথমেই তার প্রভু পবন ঠাকুরকে খোঁজে। নেই। গন্ধ আর প্রভুর টানে কুত্তাটা তারপর ওঠে দাঁড়ায়। দাঁড়িয়ে পুরনোকালের…
দুপুরবেলায় নিলাম

দুপুরবেলায় নিলাম

অকস্মাৎ কে চেঁচিয়ে উঠল রক্তে ঝাঁকি দিয়ে “নিলাম, নিলাম, নিলাম!” আমি তোমার বুকের মধ্যে উঁকি মারতে গিয়ে চমকে উঠেছিলাম। অথচ কেউ কোথাও নেই তো, খাঁ-খাঁ করছে বাড়ি, পিছন দিকে ঘুরে দেখেছিলাম, রেলিং থেকে ঝাঁপ দিয়েছে…
দেখা-শোনা, ক্বচিৎ কখনো

দেখা-শোনা, ক্বচিৎ কখনো

সর্বদা দেখি না, শুধু মাঝে-মাঝে দেখতে পাই। যেমন গভীর রাত্রে, অন্ধকারে, ক্বচিৎ কখনো দুঃখের তাপিত বুক, বুকের উন্মত্ত ওঠানামা করতলে ধরা পড়ে, যেমন সমস্ত কিছু আঙুলের চক্ষু দিয়ে দেখা যায়! সেইমতো। যে-শরীর কোথাও দেখিনি, তার…