একরাত্রিপ্রকাশিত হয়েছে : সেপ্টেম্বর 23, 2020গল্প লিখেছেন : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুরবালার সঙ্গে একত্রে পাঠশালায় গিয়াছি, এবং বউ-বউ খেলিয়াছি। তাহাদের বাড়িতে গেলে সুরবালার মা আমাকে বড়াে যত্ন করিতেন এবং আমাদের দুইজনকে একত্র করিয়া আপনা-আপনি বলাবলি করিতেন, “আহা, দুটিতে বেশ মানায় ।” ছোটো ছিলাম, কিন্তু কথাটার অর্থ…
একটা আষাঢ়ে গল্পপ্রকাশিত হয়েছে : সেপ্টেম্বর 23, 2020গল্প লিখেছেন : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দূর সমুদ্রের মধ্যে একটা দ্বীপ। সেখানে কেবল তাসের সাহেব, তাসের বিবি টেক্কা এবং গােলামের বাস। দুরি তিরি হইতে নহলা দহলা পর্যন্ত আরও অনেক-ঘর গৃহস্থ আছে, কিন্তু তাহারা উচ্চজাতীয় নহে। টেক্কা সাহেব গােলাম এই তিনটেই প্রধান…
কাবুলিওয়ালাপ্রকাশিত হয়েছে : সেপ্টেম্বর 23, 2020গল্প লিখেছেন : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার পাঁচ বছর বয়সের ছােটো মেয়ে মিনি এক দণ্ড কথা না কহিয়া থাকিতে পারে না। পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়া ভাষা শিক্ষা করিতে সে কেবল একটি বৎসর কাল ব্যয় করিয়াছিল, তাহার পর হইতে যতক্ষণ সে জাগিয়া থাকে…
সম্পাদকপ্রকাশিত হয়েছে : সেপ্টেম্বর 23, 2020গল্প লিখেছেন : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার স্ত্রী-বর্তমানে প্রভা সম্বন্ধে আমার কোনো চিন্তা ছিল না। তখন প্রভা অপেক্ষা প্রভার মাতাকে লইয়া কিছু অধিক ব্যস্ত ছিলাম। তখন কেবল প্রভার খেলাটুকু হাসিটুকু দেখিয়া, তাহার আধো আধো কথা শুনিয়া, এবং আদরটুকু লইয়াই তৃপ্ত থাকিতাম;…
দান প্রতিদানপ্রকাশিত হয়েছে : সেপ্টেম্বর 23, 2020গল্প লিখেছেন : সংগৃহীত বড়োগিন্নি যে কথাগুলা বলিয়া গেলেন তাহার ধার যেমন তাহার বিষও তেমনি। যে হতভাগিনীর উপর প্রয়োগ করিয়া গেলেন তাহার চিত্তপুত্তলি একেবারে জ্বলিয়া জ্বলিয়া লুটিতে লাগিল। বিশেষত কথাগুলা তাহার স্বামীর উপর লক্ষ্য করিয়া বলা— এবং স্বামী রাধামুকুন্দ…
জীবিত ও মৃতপ্রকাশিত হয়েছে : সেপ্টেম্বর 23, 2020গল্প লিখেছেন : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম পরিচ্ছেদ রানীহাটের জমিদার শারদাশংকরবাবুদের বাড়ির বিধবা বধূটির পিতৃকুলে কেহ ছিল না; সকলেই একে একে মারা গিয়াছে। পতিকুলেও ঠিক আপনার বলিতে কেহ নাই, পতিও নাই পুত্রও নাই। একটি ভাশুরপাে, শারদাশংকরের ছােটো ছেলেটি, সেই তাহার চক্ষের…
সুভাপ্রকাশিত হয়েছে : সেপ্টেম্বর 23, 2020গল্প লিখেছেন : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মেয়েটির নাম যখন সুভাষিণী রাখা হইয়াছিল তখন কে জানিত সে বােবা হইবে। তাহার দুটি বড় বােনকে সুকেশিনী ও সুহাসিনী নাম দেওয়া হইয়াছিল, তাই মিলের অনুরােধে তাহার বাপ ছােটো মেয়েটির নাম সুভাষিণী রাখে। এখন সকলে তাহাকে…
ছুটিপ্রকাশিত হয়েছে : সেপ্টেম্বর 23, 2020গল্প লিখেছেন : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বালকদিগের সর্দার ফটিক চক্রবর্তীর মাথায় চট করিয়া একটা নূতন ভাবােদয় হইল; নদীর ধারে একটা প্রকাণ্ড শালকাষ্ঠ মাস্তুলে রূপান্তরিত হইবার প্রতীক্ষায় পড়িয়া ছিল; স্থির হইল, সেটা সকলে মিলিয়া গড়াইয়া লইয়া যাইবে। যে ব্যক্তির কাঠ আবশ্যক-কালে তাহার…
স্বর্ণমৃগপ্রকাশিত হয়েছে : সেপ্টেম্বর 23, 2020গল্প লিখেছেন : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আদ্যানাথ এবং বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী দুই শরিক। উভয়ের মধ্যে বৈদ্যনাথের অবস্থাই কিছু খারাপ। বৈদ্যনাথের বাপ মহেশচন্দ্রের বিষয়বুদ্ধি আদৌ ছিল না, তিনি দাদা শিবনাথের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়া থাকিতেন। শিবনাথ ভাইকে প্রচুর স্নেহবাক্য দিয়া তৎপরিবর্তে তাঁহার বিষয়সম্পত্তি…
জয়পরাজয়প্রকাশিত হয়েছে : সেপ্টেম্বর 23, 2020গল্প লিখেছেন : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাজকন্যার নাম অপরাজিতা। উদয়নারায়ণের সভাকবি শেখর তাঁহাকে কখনও চক্ষেও দেখেন নাই। কিন্তু যে দিন কোনাে নূতন কাব্য রচনা করিয়া সভাতলে বসিয়া রাজাকে শুনাইতেন সে দিন কণ্ঠস্বর ঠিক এতটা উচ্চ করিয়া পড়িতেন যাহাতে তাহা সেই সমুচ্চ…