প্রতি শনিবারে মতো আজও আমরা সায়নদের দোতলায় জড়ো হয়েছিলাম। হঠাৎ সৈকত বলে উঠল, “দেখ, আমি কিন্তু স্যারের কথাটা বিশ্বাস করি না।” “বিশ্বাস করিস না! আরে, এটা তো একটা ছোটো ঘটনা। আমি তো এর থেকেও বড়ো…

অনেকদিন পর কাজে বেরিয়েছিল গগন। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে বসে আছে ও। আসলে এই বর্ষাকাল নামলেই গগনের কাজে একটু ভাটা পড়ে যায়। চারদিকে প্যাচপ্যাচে কাদা। এছাড়া সাপখোপ, জোঁক, পোকামাকড় এইসবেরও ভয় থাকে। তাই বর্ষাকাল…

ভাড়াবাড়িতে এসে প্রথমদিনেই রঞ্জুর মেজাজটা একটু হলেও বিগড়ে গিয়েছিল। আবার ভালোও লেগেছিল জায়গাটা দেখে। কিন্তু তখনও সে জানত না এইসব কিছুই না, আসলে কী কী অপেক্ষা করছে তার জন্য। এই দেড়মাস হল সে সরকারি স্কুলে…

“ওই, ওঠ রে, আর কতক্ষণ ঘুমবি? পাড়ায় যাবি না?” মায়ের ডাকে ঘুমটা ভাঙলেও তাকাল না তিস্তা। চোখটা একটু ফাঁক করে ব্যাপারটা বুঝে নিল। তারপর আরও বালিশে মুখ গুঁজে দিল। “দাঁড়াও না, উঠছি।” বলেই আবার শুয়ে…

পাহাড় ও অরণ্যে ঘেরা সুন্দর গ্রাম সোনারা। এই গ্রামেই তাবু ফেলল ভিনদেশি স্যাম ও তার পরিবার। সে চমৎকার বাঁশি বাজায়। ঝুলিতে তার নানান ধরনের বাঁশি। সেই সাথে একেকটা বাঁশিতে সে ভরে রাখে নিজের হাতে তৈরি…

ক’দিন থেকে দাদু বিছানায় শুয়ে। দাদুর শরীর ভালো নেই। স্কুলে গিয়েও তাই শান্তি নেই পুনুর। দাদু নইলে চলে! সকালে ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই তো দাদুকে দিয়ে শুরু। ঠাকুরঘর থেকে ফুলের সাজিটা হাতে নিয়ে দাদু ডাকে,…

অন্তুর মনটা আজ একেবারেই ভালো নেই। স্কুল থেকে ফিরে সে মুখ হাঁড়ি করে বসে রইল ছোট্ট বাগানটার এককোণে। তাদের বাড়িটা শহরের ব্যস্ততম অঞ্চলে হলেও এই বাগানটার জন্যে খানিকটা সবুজ দেখতে পায় তারা। একটা পেয়ারাগাছ, দুটো…

আজকাল আর কলম চুরি হয় না, বড়োজোর হারিয়ে যায়। এই তো সেদিন ব্যাঙ্কে একজন হাতে একটা পে-ইন-স্লিপ নিয়ে আমার কাছে কলম দেখতে পেয়ে, ‘দাদা পেনটা একটু দেবেন’ বলে নিয়ে লিখতে শুরু করল। লিখতে লিখতেই আবার…

ভজহরি – নামটা কোনওকালে তার বাপ-মা দিয়েছিল। কালক্রমে হরি লোপাট হয়েছে। এখন শুধু ভজ। আমাদের ভজমামা। সে আমার বাবারও মামা। দাদুরও মামা, আমারও মামা – ভজমামা। ওই ভোলেবাবার মতো। যেমন সবাই বলে – ‘ভোলেবাবা পার…

“মুন্নু, ও মুন্নু, কোথায় গেলি? সাড়াশব্দ পাই না কেন? দেখ কান্ড! আবার মোবাইল নিয়ে গেম খেলতে বসে গেছে! কী করব ভগবান! এই মেয়ে যে চোখের বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে!” মা প্রতিদিনই এই ফাটা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন,…