ব্যস্ততা

ব্যস্ততা

তোমাকে বিশ্বাস করেছিলাম, যা কিছু নিজের ছিল দিয়েছিলাম, যা কিছুই অর্জন-উপার্জন ! এখন দেখ না ভিখিরির মতো কেমন বসে থাকি ! কেউ ফিরে তাকায় না। তোমার কেন সময় হবে তাকাবার ! কত রকম কাজ তোমার…
মেয়েটা আমার সঙ্গে হাঁটে

মেয়েটা আমার সঙ্গে হাঁটে

এই যে শুনুন। মিলি শুনতে পেল না। যেমন হাঁটছিল, হাঁটতে লাগল। ভদ্রমহিলা দ্রুতই হাঁটছিলেন। পরনে বেগুনি প্রিন্টের কামিজ আর সাদা সালোয়ার। পায়ে আরামদায়ক জুতো। অক্টোবরের শেষদিক। বিকেলবেলার পার্কে শীতলভাব। তারপরও তিনি বেশ ঘেমেছেন। মিলি শুনতে…
অবিশ্বাসীর কবর

অবিশ্বাসীর কবর

এমন সুনসান নিরালায় বিরান একটা মাটির ঘরে নামতেই আবদুল কাদিরের মনটা না-আনন্দ না-দুঃখ এমন একটা অপরিচিত অনুভূতিতে ভরে উঠল। কালো গেরুয়া রঙের মাটি তাকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। কোনো শক্ত ইট-বালি দিয়ে বানানো বাসা তো…
দংশন

দংশন

পিয়ারু মৃধা ঘর থেকে বেরোতেই ছোট বউ সশব্দে দরজার খিল এঁটে দিল। বুরচান বসেছিল অন্ধকার বারান্দার এক কোণে- জলচৌকিতে। আসন ছেড়ে উঠে এসে সে মানুষটার হাত থেকে টর্চটা নিল নিজের মুঠোয়। তার পর পথে নেমে…
বালতাসারের অদ্ভুত বিকেল

বালতাসারের অদ্ভুত বিকেল

খাঁচা বানানো শেষ হয়েছে। বালতাসার অভ্যাসবসে খাঁচাটা ছাদের কিনারায় ঝুলিয়ে দিল। এরপর সে দুপুরের খাবার খেতে বসল। খাওয়া শেষ হলে শুনল লোকজন বলাবলি করছে, বাহ্ কী সুন্দর পাখির খাঁচা! এমন তো দেখি নি! পৃথিবীর সেরা…
অপেক্ষিত আমি

অপেক্ষিত আমি

আয়নার দিকে তাকিয়ে,তাকিয়ে নিজেকে নিজেই আস্তে মিস্টি সুরে বলে উঠলাম “ভালোবাসি”। এ কথা বলার পরেই নিজের অজান্তেই ঠোঁটের কোনায় হাসির রেখা ফুটে উঠলো। টিপটা কপালে দিয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে লজ্জায় লাল হয়ে উঠতেছি। হুম, টিপটা…
এই হলো নারী!

এই হলো নারী!

বিয়ের আগে জান্নাতকে আমি বার বার বলেছিলাম, “আমাকে বিয়ে করো না। জীবনেও স্বচ্ছলতার মুখ দেখতে পাবে না। তোমার কোনো শখও পূরণ হবে না। আর এটাও ভেবো না, তোমাকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য আমি এসব বলছি! যা…
সময়ের দংশন

সময়ের দংশন

বাবা আজির উদ্দিন এবং মা মইরম একমাত্র ছেলে সুফিয়ানকে প্রচণ্ড আদর করে। সুফিয়ান জমি-জমা দেখা-শুনা করে। লাঙ্গল দিয়ে নিজ হাতে জমি চাষ করে। হালের জোড়া বলদকে পানি খাবার দেয়া থেকে শুরু করে গোয়ালে ঢুকানো, বের…
দংশন

দংশন

ফোন তুলতেই সায়ন বললো – কিরে কেমন আছিস অনিক ? ক্লাবে আসিস না কেন আজকাল? বিজি নাকি ভাই তুই? -না রে সায়ন, কদিনের জন্য অফিসের কাজে বাইরে গেছিলাম, গত পরশু রাতে ফিরেছি। কেন রে কিছু…
ঝাঁঝা-র ভূত

ঝাঁঝা-র ভূত

তড়িৎদের বাড়ি যেতে হলে হাওড়া-তারকেশ্বর লাইনে হরিপাল স্টেশনে নেমে বাসে করে এক ঘন্টা কুড়ি-পঁচিশ মিনিটের পথ। স্টপেজের নাম ঝাঁঝা। সেখান থেকে আবার পায়ে হাঁটা পথ। পথ বলতে খা-খাঁ করছে ধানক্ষেত তার মাঝখান দিয়ে সরু মেঠো…