এই বলে নিশিতা আজাদ সাহেবের ঘরে গিয়ে বলে,
নিশিতা:-মঙ্গোল মণি উদ্ধার করার উপায় লিখা আছে যেই পুঁথি টায় সেটা কথায় বল।।
নিশিতার হটাৎই এমন ব্যবহার দেখে আজাদ সাহেব চমকে উঠেন আর বলেন
আজাদ:-নিশিতা তুমি এইসব কি বলছ আর তুমি কি ভাবে জানলে সেই পুথির কথা।।
নিশিতা হাসতে থাকে আর বলে,
নিশিতা:-আমার মৃত্যুর জিনিসের কথা আমি জানব না তা কি করে হয়।।
আজাদ:-তোমার মৃত্যুর কথা মানে।।
তোখন আজাদ সাহেব দেখে নিশিতা আস্তে আস্তে এক জন্তুতে পরিণত হচ্ছে।।
আর সেই জন্তুটি হচ্ছে সেই মানুষ খেকো দানব নিশিতাকে সে দানবে পরিণত হতে দেখে আজাদ সাহেব খুব ভয় পেয়ে যায় আর বলে,
আজাদ:-আমি কখনো সেই পুঁথির কথা বলব না।।।
নিশিতা আবার মানুষের
রুপ নিয়ে বলে,
নিশিতা:-আমি সেই মানুষ খেকো দানবের রাজকুমারি।।
আর পুঁথির সন্ধান না দিলে তোকে আজ মরতে লাগবে আজাদ।।
আজাদ:-আমার জীবন গেলে যাবে তবুও আমি সেই পুথি তোমার হাতে কখনো তুলে দিব না।।
সেই পুথিতে তোমাদের শেষ করার কথা লিখা আছে।।
চন্দ্র কুমার তোমাদের ঠিক শেষ করবে।
নিশিতা:-চন্দ্র কুমার তা কখনো পারবে না তার আগেই ওর মৃত্যু হবে।।
এখন তুই বল সেই পুথি কোথায়।।
আজাদ:-না আমি বলব না
সেই পুঁথি কথায় আছে।।
নিশিতা:-বলবি না তাহলে তো তোকে বেচে রাখা যাবে না। তোকে মরতে হবে।এই বলে নিশিতা আবার সেই দানবে পরিণত হতে থাকে।।
আর বলতে থাকে,
নিশিতা:-এখন সময় আছে বল সেই পুথি কথায় নাহলে তোর মাথা তোর শরির থেকে আলাদা করে সব রক্ত খেয়ে নিব।।
আজাদ:-আমার জীবন থাকতে সেই পুথির সন্ধান তোমরা কখনই পাবে না।।
নিশিতা :-ঠিকাছে যদি না বলিস তা হলে মর তুই।।
এই বলে নিশিতা পুরপুরি সেই মানুষ খেকো দানবে পরিণত হয়ে আজাদ সাহেবের দিকে এগুতে লাগল।।
এদিকে ইরফান তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।। এক পর্যায় ইরফান বলল,
ইরফান:-এখন যাইরে।।
বাসায় তারাতারি যেতে লাগবে।। কালকে আবার আমাকে সেই রাজ্যের দিকে রোওনা দিতে লাগবে।।
সোয়েব:-হ্যা ঠিক আছে তুই যা কিন্তু আমাদের ধাধাটা তো বলে যা।।
ইরফান:-ধাধাটা বেশ অন্য রকম। এই ধাধার রহস্য কি ভাবে
খুজে বের করব কিছুই বুঝতেছি না।
রাহাত:-আমাদের বল সেই ধাধাটা দেখি আমরা পারি কি না।।
ইরফান:-ধাধাটা ঠিক এই রকম,
‘”‘”তোমার মধ্যে আছে যা, সকল প্রানীর মধ্যে রয়েছে তা।।
পূর্নতিথীতে দিতে হবে।। সেই জিনিস দিলে তুমি পেয়ে যাবে মঙ্গোল মণি””””।।
সোয়েব:-এটা আবার কেমন ধাধা।। সকল প্রাণীর মধ্যে যেইটা আছে তোর মধ্যেও সেটা আছে।।
রাহাত:-অন্য প্রাণীর সাথে মানুষের কোন জিনিসের মিল আছে আর এই ধাধার উত্তরী বা কি হবে।।
ইরফান:-সেই টাই খুজে বের করতে হবে।। আচ্ছা এখন যাই।।
আর পারলে কালকে সকালে আমার বাসায় আসিস।। যাওয়ার আগে একবার দেখাকরে নিব।।
এই বলে ইরফান বাসায় চলে যায়।। আর বাসায় ঢুকেই সে চমকে উঠে।। বাসার ভেতরে চার পাশে
রক্ত পরে আছে।। রক্ত দেখে ইরফান চিৎকার দিয়ে তার বাবাকে ডাকে কিন্তু তার বাবা কোনো উত্তর দেয় না।। ইরফান যখন আরেকটু ভিতরে যায় তোখন সে একটা মাথা কাটা দেহ দেখতে পায়।। দেহটা পুর রক্তেমেখে লাল হয়ে আছে।। বুঝা যাচ্ছে না এই দেহটা কার।। ইরফান পুর বাড়িতে তার বাবাকে খুজে কিন্তু কোথাও পায়না।। কাজের লোকদের ডাকে তারাও কেউ সাড়া দেয় না।। এক পর্যায় ইরফানের মনে পড়ে নিশিতার কথা।। সে নিশিতাকে ডাকে কিন্তু নিশিতারো কোনো সাড়া শব্দ নাই।। ইরফান নিশিতার ঘরে যায় কিন্তু সেখানেও নিশিতার কোনো চিহ্ন নাই।।
ইরফান এবার বুঝতে পারে এই কাজ কার।।
ইরফান তোখন সেই দেহটাকে বুকে জরিয়ে নিয়ে কান্না করতে লাগে।। হটাৎ ইরফান টের পায় যে
পিছন থেকে কেউ একজন তার কাধে হাত রাখে।। পিছনে ফিরে ইরফান যা দেখে তা দেখে ইরফান চমকে উঠে।।
আরো গল্প পড়তে লিংক এ ক্লিক করুন……