এর পর সেনাপতি উবাইদুর সিং রাজা আলবদির সিং কে বিয়ে দেওয়ার জন্য অন্য রাজ্যের রাজকুমারিদের আহ্বান জানান।।কিন্তু অন্য রাজ্যের রাজকুমারিরা
আলবদির সিং এর খারাপ চরিত্রের কথা শুনে কেউ বিয়ে করতে রাজি হয়নি।। আবার আলবদির সিং ও বিয়ে করতে রাজি ছিল না।। কিন্তু তাকে তো বিয়ে
দিতেই লাগবে।। না হলে এই রাজ্যের তৃতীয় রাজার আবির্ভাব হবে কি ভাবে।। তাই সেনাপতি উবাইদুর সিং পুর রাজ্যের মধ্যে খুজে এক সাধারন মেয়ের সন্ধান পায়।। মেয়েটি ছিল এক জেলের মেয়ে।। মেয়েটি দেখতে এতোই অপরুপ সুন্দরি যে তাকে দেখা মাত্রই যে কেউ প্রেমে পরে যাবে।। সেই মেয়েটি কে আমিও
ভালোবাসতাম।। আর মেয়েটি আমাকে ভালোবাসত।। মেয়েটির নাম ছিল রোজি।। আর আমি যে রোজিকে ভালোবাসতাম সেই কথাটা আমার বাবা উবাইদুর সিং জানত না।। আর তাই উবাইদুর সিং রোজিকে আলবদির সিং এর সামনে উপস্থিত করে।। রোজিকে প্রথম দেখাতেই আলবদিরের ভাল লেগে যায়।। তাই রোজির সাথে আলবদির সিং কে বিয়ে দিতে চান।। আমি এর বিরুদ্দ্যে ছিলাম।। কারন আমি চাইনি যে আমার ভালোবাসা আমার সামনে অন্য কারো হক।। কিন্তু রোজি রাজি হয়েছিল।। কারন রোজিকে উবাইদুর সিং রাজ্যের ক্ষতির কথা বলেছিল।। উবাইদুর সিং এর কথা শুনে রোজি আমায় বলেছিল, রোজি:-আমাদের ভালোবাসার জন্য আমরা রাজ্যের এতো মানুষের ক্ষতি হতে দিতে পারি না।। আমরা যদি আমাদের ভালোবাস ত্যাগ করি তাহলে রাজ্যের এতো মানুষ বেচে যাবে সেই মানুষ
খেকো দানবের হাত থেকে।। তোবুও আমি রাজি হয়নি।। কিন্তু যখন সেনাপতি উবাইদুর সিং জানতে পারল রোজি কে আমি ভালোবাসি আর রোজি আমাকে ভালোবাসে তোখন সেনাপতি উবাইদুর সিং আমায় বলে,
উবাইদুর সিং:-আজাদ আমি তোমার বাবা হয়ে নয়, রাজ্যের সেনাপতিও হয়ে নয় আমি একজন মানুষ হিসেবে রাজ্যের মানুষদের জীবন ভিক্ষা চাইছি তুমি রোজির
সাথে আলবদির এর বিয়ে হতে দেও।।রাজ্যের মানুষদের রক্ষা কর।। বাবার কথা আমি ফেলতে পারিনি।। রাজ্যের মানুষের কথা চিন্তা করে আমি আমার ভালোবাসাকে অন্যের হাতে তুলে দেই।। আলবদির সিং এর সাথে রোজির বিয়ে হয়।। কিন্তু আলবদির সিং প্রজাদের উপর তার অত্যাচার করা কমায়নি।।
সে রাজ্যের মানুষের উপর তোখন অত্যাচার করত।। এভাবেই দিন কাটতে থাকে।।
কয়েক মাস পর খবর পাওয়া যায় রাজ্যের ভাবি রাজার আবির্ভাব হবে।। মানে তোর জন্মের খবর পাওয়া যায়।।এই খবর পেয়ে আমার বাবা খুব খুশি হয়েছিল।।
কিন্তু আলবদির তার সন্তান কে জন্ম দিতে চায় না।। কারন সে ভাবে সন্তান জন্ম নিলে তার রাজত্ব ছেরে দিতে হবে।। সেই কারনে সে রোজিকে মেরে ফেলতে চায়।।
আর উবাইদুর সিং সেটা বুঝতে পারে তাই সেনাপতি উবাইদুর সিং আমাকে বলে রোজিকে নিয়ে সেই রাজ্য ছেরে দিতে মানে পালিয়ে যেতে বলে আমাদের।। আর তাই আমি আর তোর মা রোজি রাতের অন্ধকারে পালিয়ে আসি।। পালিয়ে গিয়ে আমরা রাজ্যের এক গোপন জায়গায় ছিলাম।। সেই জায়গায় যে আমরা ছিলাম
সেইটা এক মাত্র সেনাপতি উবাইদুর সিং জানত।। অন্য দিকে আমরা পালিয়ে যাওয়াতে আলবদির সিং সৈন্য লাগিয়ে দেয় আমাদের খুজার জন্য।। তোকে জন্মের আগেই মেরে ফেলার জন্য।। আমরা তোর জন্মের আগ পর্যন্ত সেই গোপন জায়গায় ছিলাম।। এক সময় তোর আসার সময় হয়ে যায়।। তোর জন্ম হয় এক
পূর্ণীমাতিথীতে।। তোর জন্ম হওয়াতে মনে হয় রাজ্যের সকল প্রাণীর মুখে হাসি ফোটে।। তোকে দেখতে এতো সুন্দর ছিল যে তোকে যে একবার দেখবে সে ভাব্বে যেন আকাশের চাদ সে দেখতে পাচ্ছে।। তোর জন্মের পর আমরা তোর বাবার কাছে যাই আমরা ভাবি যে তোর এই কমল সুন্দর চেহারা দেখে হয়তো তোর বাবার মন নরম হবে।।
কিন্তু আমাদের ধারনা ভুল ছিল।। তোর বাবা তোকে দেখে অশিকার করেছিল তোকে।। এই যন্ত্রনা সয্য করতে না পেরে তোর মা মারা যায়।। আর তোখন তোর বাবা তোকে মেরে ফেলতে চায়।। কিন্তু সেনাপতি উবাইদুর সিং কৌশল এর মাধ্যমে তোকে বাচিয়ে নেয়।। তোকে আমার হাতে তুলে দিয়ে বলে,
উবাইদুর সিং:-আজাদ এই রাজ্য কতো দিন থাকবে জানি না তোবে রাজ্য যদিও না থাকে পৃথিবী তো থাকবে আর পৃথিবীকে সেই মানুষ খেকো দানবের হাত থেকে
রক্ষা করতে হলে এই রাজ্যের তৃতীয় বংশ ধর কে বেচে থাকতে হবে।। আর এই রাজ্যের তৃতীয় বংশ ধর কে আমি তোমার হাতে তুলে দিলাম।। তুমি একে বড় করবে
রাজার আদর্শ দিয়ে।। এই ছেলের নাম হবে “””চন্দ্র কুমার”””।। তোকে আমার হাতে তুলে দেয় আর সাথে মানুষ খেকো দানবদের শেষ করার জন্য এই পুথি দেয়।।
এর পর আমি তোকে নিয়ে সেই রাজ্য ছেরে চলে আসি।। সেখান থেকে আসার পরে সেই রাজ্যের কি হয়েছিল আমি আর কিছু জানি না।। এখানে আসার পর আমি
তোকে আমার নিজের ছেলের মতো মানুষ করেছি।। আর কথা মতো সেই রাজ্যের তৃতীয় রাজা এবং এই পুঁথি রক্ষা করেছি।। এখন এই পুথির মধ্যে রয়েছে একটি ধাধা
আর তুই হলি সেই রাজ্যের তৃতীয় রাজা।। এখন তুই সেই ধাধার উত্তর জানতে পারলে পাবি মঙ্গোল মণি।। আর সেই মণির সাহায্যে তুই শেষ করতে পারবি মানুষ খেকো দানবদের।।
আরো গল্প পড়তে লিংক এ ক্লিক করুন……