আজ থেকে চল্লিশ বছর আগের কথা।। উত্তর পশ্চিমে এক রাজ্য ছিল।। সেই রাজ্য ছিল নেক সুখের।। সেখানকার রাজা হামিদুর সিং ছিল ন্যায় পরায়ণ।।
কোনো অন্যায় হতে দিত না কার সাথে।। যে অন্যায় করত তাকে কঠর শাস্তি প্রদান করত।। সেই অন্যায় কারি যেই হক না কেন।। নিজের পরিবারের মানুষ হক
আর রাজ্যের মানুষ হক।। এক সময় রাজ্যের মধ্যেনেমে এল সংকটময় সময়।। আমার বয়স তোখন দশ বছর।। আমি ছিলাম সেনাপতি উবাইদুর সিং এর ছেলে
আজাদ সিং।। আর তোর বাবা ছিল রাজা হামিদুর সিং এর ছেলে আলবদির সিং।। সেই সংকটময় সময় হচ্ছে রাজ্যে এই মানুষ খেকো দানব এসেছিল।।
মানুষ খেকো দানব রাজ্যের প্রজাদের প্রতিনিয়ত খেয়ে ফেলে।। মানুষ খেকো দানবদের এক প্রকার শক্তি ছিল তারা যে কোনো সময় মানুষের রুপ ধারন করতে পারে।।
আর সেই মানুষ খেকো দানবরা সেই সুযোগে মানুষদের খেয়ে ফেলত।।
এই সংকট দেখে রাজা হামিদুর সিং অনেক চিন্তিত হলেন।। কি করবেন তিনি রাজ্যের মানুষের জন্য এই ভাবনায় দিন কাটে।। ঠিক সেই সময় এক ঋষি এসেছিল রাজ্যে।। সে রাজা হামিদুর সিং কে বলেছিল এই সমস্যা থেকে বের হবার একটি রাস্তা আছে।। তোবে শুধু কয়েক বছর এই সমস্যারর সমাধান থাকবে।। মানুষ খেকো দানব গুলোকে চিরতরে শেষ করতে পারবে শুধু এক জন।। আর সে হচ্ছে এই রাজ্যের তৃতীয় রাজা।। রাজা হামিদুর সিং সেই ঋষি কে বললেন সেই উপায় বলতে।।
ঋষির উপায়টি হচ্ছে এক অতি শক্তিশালী মঙ্গোল মণি রয়েছে সেই মঙ্গোল মণি দ্বারা এই মানুষ খেকো দানব দের শেষ করা যাবে।। কিন্তু সেই মঙ্গোল মণি পেতে গেলে অনেক কষ্ট সয্য করতে হবে রাজা হামিদুর সিং কে।। টানা পনের বছর সাধনা করে এই মঙ্গোল মণি পাওয়া যাবে।। ঋষির কথায় রাজা হামিদুর সিং রাজি হয়।।
তিনি এই সাধনা করার জন্য রাজ্যের অন্য প্রান্তে চলে যান।। যাওয়ার আগে তিনি রাজ্যের কাজ তার ছেলে আলবদির সিং কে দেন।। কিন্তু আলবদির সিং মানে তোর বাবার চরিত্র ছিল খারাপ।। আমি আর তোর বাবা এক সাথে বড় হয়েছি।। তোর বাবা অনেক অপরাধ করত কিন্তু রাজার ছেলে বলে কেউ কিছু বলতে পারত না।।
সে রাজ্যের ভার নেওয়ার পর রাজ্যে অনেক অশান্তি সৃষ্টি হয়।।
কিন্তু তার কথার উপরে কেউ কিছু বলতে পারে না।। কারন সে যে তোখন রাজা ছিল।। সেই মুহুর্তে মানুষ খেকো দানবরা তাদের মধ্যে সব চেয়ে সুন্দরি এক নারি দানব কে তোর বাবার পিছনে লাগিয়ে দেয়।। আর তোর বাবা সেই মানুষ খেকো সুন্দরি নারি দানবের পিছনে পরে রাজ্যে এক অনাসৃষ্টি করে।। সে আমার বাবা উবাইদুর কেউ অনেক কটু কথা বলে।খারাপ আচরন করে। অনেক কষ্ট দেয় । কিন্তু বাবা শুধু রাজা হামিদুর সিং এর কথা ভেবে কিছু বলতে পারেনি। পনের টা বছরে রাজ্যের মানুষ অশান্তি ভোগ করেছে।। এর পর আলবদির সিং মানুষ খেকো দানব দের সাথে যুক্ত হয়ে প্রজাদের উপর অনেক অত্যাচার করেছে।। অনেক প্রজাদের জীবন দিতে হয়েছে মানুষ খেকো দানবদের কাছে তার জন্য।। দেখতে দেখতে পনেরটা বছর কেটে গেল।। ফিরে এলেন রাজা হামিদুর সিং।। কিন্তু পনের বছর পর
যখন রাজা হামিদুর সিং ফিরে এলো তখন আর আলবদির সিং তার বাবাকে রাজ্যের ভার দেয়নি।।
কিন্তু তাকে কারাগারে আটকে রেখেছিল।। কারন হামিদুর সিং এর কাছে সেই শক্তিশালী মঙ্গোল মণির সন্ধান রয়েছে।। মানুষ খেকো দানবরা আলবদির সিং কে হাত করে তার বাবার উপর অনেক অত্যাচার করে সেই মণির সন্ধান পাওয়ার জন্য।। কিন্তু রাজা হামিদুর সিং সেই মণির কথা কাউকে বলেনি।।
আমার বাবা উবাইদুর সিং এইসব দেখে সয্য করতে না পেরে এক দিন রাতে রাজা হামিদুর সিং কে কারাগার থেকে পালাতে সাহায্য করে।। যাওয়ার আগে রাজা
হামিদুর সিং আমার বাবা কে বলে গেছে এই রাজ্যের তৃতীয় রাজাই এক মাত্র পারবে এই দানবদের শেষ করতে।। অর্থ্যাৎ তোর কথা বলেছে।। কিন্তু তোর বাবা তো
এক মানুষ খেকো নারির পিছনে পরে আছে।। এই নিয়ে সেনাপতি উবাইদুর সিং মানে আমার বাবা অনেক চিন্তিত হলেন।। আর এদিকে রাজা হামিদুর সিং সেই মঙ্গোল মণি দিয়ে মানুষ খেকো দানব দের মানুষের রুপ ধারন করিয়ে নেন।। ঋষি বলেছিল এই মণি দিয়ে সেই মানুষ খেকো দানব দের কয়েক বছর শুধু মানুষ রুপে রাখা যাবে।।
সময় ফুরিয়ে এলে তারা আবার মানুষ খেকো দানবে পরিণত হবে।। আর সেই সময় যদি এই রাজ্যের তৃতীয় বংশ ধর তাদের বিনাশ করতে না পারে তাহলে মানুষ খেকো দানবেরা পৃথিবীকে শেষ করে দিবে।। যখন রাজা হামিদুর সিং মানুষ খেকো দানবদের মানুষ রুপ দেন ঠিক কিছুদিন পর তিনি মারা যান।। মারা যাওয়ার আগে তিনি লুকিয়ে রাজ্যে এসেছিলেন।। রাজ্যে এসে এই গ্রন্থটি আমার বাবা উবাইদুর সিং কে দেন।। আর একটি ধাধা দেন।। কারন মঙ্গোল মণি তিনি সুরক্ষিত জায়গায় রেখে দিয়েছেন।। এক মাত্র এই ধাধার উত্তর যে খুজে পাবে সেই মঙ্গোল মণি পাবে।। তিনি আরো বলেন যে উবাইদুর যে করেই হক আলবদির সিং কে কোনো মানুষের মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে রাজ্যের তৃতীয় রাজাকে জন্ম দিও।।