এদিকে কলেজে গিয়ে ইরফান তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।। সেই সময় ইরফান এর বন্ধু য়েব বলল,
সোয়েব:-তোরা দেখেছিস আজ বিশ্বের কি অবস্তা।।
রাহাত:-সেই জন্তুটির জন্য রাত্রি বেলা ঘর থেকে বের হওয়া যায় না।।
কেয়া:-সরকার এর বিরুদ্দ্যে কি পদক্ষেপ নিচ্ছে।।
সোয়েব:-পদক্ষেপ কি ভাবে নিবে তারা তো জানেই না এই জন্তু কোন জন্তু।।
রাহাত:-কিরে ইরফান তুই কিছু বলছিস না।। কি ভাবতেছিস এতো।।
রাহাতের কোথায় ইরফান বাস্তবে ফিরে এল,
ইরফান:-কই কিছু না বল তোরা কি বলছিস।।
কেয়া:-কিরে ইরফান সত্যি করে বল তো তোর কি হয়েছে।। আমাদের মধ্যে তুই বেশি কথা বলিস আর আজকে আমরা কথা বলছি তুই একিবারে চুপ করে আছিস।।
ইরফান:-আরে বাবা কেমন জানি রহস্য জনক কথা বলছে।।
সোয়েব:-রহস্য জনক বলতে??
ইরফান:-আমি বাবাকে বললাম এই জন্তুর হাত থেকে মুক্তির উপায় কি।।
বাবা বলল সময় হলে তুই সব জানতে পারবি।।
রাহাত:-তুই জানতে পারবি।। তুই জেনে কি করববি
ইরফান:-আরে সেটা তো আমার প্রশ্ন আমি জেনে কি করব।। বাবা কি বলল জানিস।।
কেয়া:-কি বলল আঙ্কেল??
ইরফান:-বাবা বলল আমি ছারা আর কেউ জানতে পারবে না এই বিষয়।।
আর কি একটা ধাঁধার মতো কথা বলল।।
রাহাত:-ধাঁধার মতো কথা বলতে??
ইরফান:-দিন খন চলে যাচ্ছে, সময় ফুরিয়ে আসছে, সে এবার তার লক্ষে পৌছাবে।।
সমস্যার সমাধান করবে যে, তোমার মধ্যে আছে সে পূর্নতিথীতে জাগবে সে।।
সোয়েব:-এ আবার কেমন কোথা।।
ইরফান:-সেটাই তো আমাকে ভাবাচ্ছে।।
একটু পর ক্লাসের ঘন্টা পরল।। তারা সবাই ক্লাসে যায়।। ক্লাসে গিয়ে স্যার ক্লাস নিচ্ছে কিন্তু ইরফানের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই।। সে শুধু তার বাবার সেই রহস্য জনক ধাঁধার কোথাটা ভাবছে।। এভাবেই সময় কেটে যায়।। কলেজ শেষ করে ইরফান বাড়িতে চলে আসে।। বাড়িতে এসেই ইরফান গোসল, খাওয়া দাওয়া সেরে বসে বসে টিভি দেখতে লাগল।। সেই সময় ইরফানের
বাবা সেখানে এল।। ইরফান আর তার বাবা বসে গল্প করতে লাগল।। গল্প করতে করতে সন্ধ্যা
হয়ে যায়।। গল্প করা শেষ করে সন্ধ্যার সময় ইরফান বাইরে যায়।। বাইরে যাওয়ার সময়
তার বাবা বলে,
আজাদ:-ইরফান তারাতারি বাসায় ফিরবে।। পরিস্থিতি ভাল না।।
ইরফান:-ঠিকাছে বাবা।। তুমি খাওয়া সেরে ঔষধ খেয়ে নিও কেমন।।
আজাদ:-আচ্ছা।।
ইরফান বাইরে চলে গেল তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য।। আড্ডা দিতে দিতে রাত
সারে দশ টা বেজে যায়।। রাত সারে দশটা বাজতে দেখে ইরফান বলে,
ইরফান:-এবার আমাদের বাসায় যাওয়ার দরকার তোরা তো জানিস বাইরের কি খবর বেশি রাত অবদি বাইরে থাকা নিরাপদ নয়।।
রাহাত:-হ্যা ঠিক তাই এখন বাসায় যাওয়ার দরকার।।
সোয়েব:-তাহলে চল চলে যাই।। কালকে আবার কলেজে দেখা হবে।। এই বলে যে যার বাসার
উদ্দ্যেশে রোওনা দেয়।। ইরফানও বাসার উদ্দ্যেশে রোওনা দেয়।।
বাসার কাছাকাছি যেতেই ইরফান দেখতে পায় এক বিশাল আকারের জন্তু তার সামনে দারিয়ে আছে।। ইরফান সেই জন্তুটি কে দেখে ভয় পেয়ে যায়।। কিন্তু সেই জন্তুটি ইরফানের ধারেকাছে আসতে পারে না।। ইরফানের কাছে আসতে না পেরে সেই জন্তুটি হুংকার দিতে লাগল।।
এবার ইরফান সেই জন্তু টির দিকে এগুতে লাগল।। ইরফান যত জন্তুটিরর দিকে এগুচ্ছে
জন্তুটি তোতো পিছনে যাছে।। আর ইরফানের হাতের মধ্যে একটা লকেট ছিল সেই লকেট থেকে এক
আলোর রশ্মি বের হয়ে জন্তুটির গায়ে গিয়ে পরল।। আলোর রশ্মি পরার ফলে মনে হচ্ছে জন্তুটির গায়ে বিষের প্রবাব সৃষ্টি হচ্ছে।। বিষের প্রভাবে এক পর্যায় জন্তুটি মানুষের রুপ ধারন করে।।
জন্তুটিকে মানুষের রুপ ধারন করতে দেখে ইরফান খুব ভয় পায়।।
আর সেই জন্তুটি মানুষের রুপ নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।। ইরফান তোখন তারাতারি
বাসায় চলে আসে।। বাসায় এসে তার বাবাকে ডাকতে লাগে।। তার বাবা এসে বলে
আজাদ:-কি হয়েছে ইরফান।। ইরফান তার বাবা কে সব বলে।। সব শুনে তার বাবা বলে,
আজাদ:-সময় ফুরিয়ে এসেছে
তোর কঠিন পরীক্ষা সামনে।।
ইরফান:-কি বলছ বাবা
আমি কিছু বুঝতে পারছি না।।
আজাদ:-আজকে ঘুমিয়ে পর কালকে তোকে সব বলব।। এই বলে আজাদ সাহেব তার ঘরে চলে যায়।। আর ইরফান ও তার ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে।। আজাদ সাহেব তার ঘরে গিয়ে এক পুরনো
বই বের করল।। বইটি অনেক আগের যুগের।। বইটি দেখতে বেশ একটা আদিম যুগের রাজাদের
পুথির মতো।। আজাদ সাহেব বইটিতে কি যেন দেখে রেখে দিলেন।। গভীর রাতে হটাৎ করেই
ইরফান দেখে তার সামনে এক ব্যক্তি দারিয়ে আছে আর তাকে কিছু বলছে।। ইরফান সেই ব্যক্তির কথা শুনার চেষ্টা করে।।
ইরফান শুনতে পায় লোকটি বলছে,
লোকটি :-তোমার সময় এসে গেছে চন্দ্র কুমার।।
সেই মানুষ খেকো দানব আবার জেগে উঠেছে।। তোমাকে তাদের বিরুদ্দ্যে লড়াই করতে হবে।।
তোমাকে সেই মঙ্গোল মণি উদ্ধার করতে হবে।। তুমি তৈরি হও।। সেই ধাধার মাধ্যমে
তোমাকে মানুষ খেকো দানবদের ধংশ করতে হবে।।
ইরফান:-কোন ধাধার কথা বলছেন আপনি।।
লোকটি :-যেই ধাধার দ্বারা এই মানুষ খেকো দানবদের শেষ করা যায় সেই ধাধা।।
ইরফান :-তাহলে আমাকে বলে দিন সেই ধাধাটি।।
আমি এর সমাধান করে শেষ করব সেই দানব দের।। লোকটি ধাধাটি বলার আগেই
কথা থেকে সেই মানুষ খেকো দানবটি এসে লোকটিরর মাথা তার শরির থেকে আলাদা করে দেয়।।
এই দৃশ্য দেখে ইরফান চিৎকার দিয়ে উঠে,
ইরফান:-বাবা। ইরফানের চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে তার বাবা আসে।।
এসেই আজাদ সাহেব ছেলে কে বলতে লাগে,
আজাদ:-ইরফান বাবা কি হয়েছে তোর কি হয়েছে বল।।
ইরফান:-বাবা জন্তুটি জন্তুটি সেই লোকটির মাথা আলাদা করে দিল মাথা আলাদা করে দিল।।
আজাদ:-কোন লোকটির মাথা আলাদা করেছে।। তুই সপ্ন দেখেছিস।
ইরফান:-হ্যা বাবা আমি সপ্নে দেখছিলাম একটা লোক এসে আমাকে বলতে লাগল চন্দ্র কুমার সেই মানুষ খেকো দানব আবার জেগে উঠেছে।।
তোমাকে মঙ্গোল মণি উদ্ধার করতে হবে।। এক ধাধার মাধ্যমে আমাকে সেই মানুষ খেকো দানব দের শেষ করতে হবে আর ঠিক সেই সময় জন্তুটি এসে সেই লোকটির মাথা আলাদা করে দিল।।
কি হচ্ছে বাবা এসব।। সপ্নের কথা বলা লোকটি কি বলে গেল।। আর চন্দ্রকুমার টাই বা কে।।
কাল কেউ সেই জন্তুটি আমার কাছে আসতে চেয়েও আসতে পারল না।। আমার এই লকেট এর জন্য।। আর এখন এই লোকটি কে সপ্নে দেখা, তার কথা আমার মাথায় কিছুই ঢুকছে না বাবা।।
আজাদ:-ইরফান বাবা এবার তোমার সব কিছু জানার দরকার।।
সময় হয়ে গেছে তোমাকে সব কিছু জানতে লাগবে।।
ইরফান:-কি জানতে লাগবে বাবা।।
আজাদ :-এসো আমার সাথে।।
ইরফান:-কোথায় যাব বাবা।।
আজাদ:-আমার ঘরে এসো তোমাকে একটা জিনিস দেখাব।।
এই বলে ইরফান আর আজাদ সাহেব, আজাদ সাহেবের ঘরে গেলেন।।
ঘরে গিয়ে সেই বইটি বের করেন।।
আজাদ সাহেবকে পুরন বই বের করতে দেখে ইরফান বলে,
ইরফান:-এই পুরন বই কিসের বাবা।।
আজাদ:-এটি কোনো সাধারন বই নয়।।
এই বইয়ে সব রয়েছে কি ভাবে এই দানবদের শেষ করা যায়।।
তোমাকে আমি সব বলছি।। তোমার জিবনের সব কাহিনী।।
ইরফান:-হ্যা আমাকে সব বল আমি শুনতে চাই।। আমার সাথে এসব কেন হচ্ছে।।
আজাদ:- তাহলে শোন।।
এই বলে আজাদ সাহেব ইরফান কে বলতে লাগল,,,,,,,,
আরো গল্প পড়তে লিংক এ ক্লিক করুন……