(এই গল্প সম্পূর্ণ কাল্পনিক।। এর সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই।।)
আজকের বিশেষ খবর, আজকাল পৃথিবীর অনেক জায়গা থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে কোনো এক ভয়ংকর জন্তু বা জানোয়ার দ্বারা মানুষ তাদের প্রান হারাচ্ছে।।
সেই জন্তুটি মানুষের মাথা তার শরির থেকে আলাদা করে শরিরের সব টুকু রক্ত খেয়ে নিচ্ছে।। কিন্তু যেই মানুষ এর মাথা আলাদা করে ফেলতেছে, সেই মানুষের মাথা আর কোথাও খুজে পাওয়া যায় না।। আবার অন্য সুত্রে জানা গেছে এই জন্তুটি মানুষের রুপ ধারন করে মানুষের ঘরে গিয়ে বা কাছে গিয়ে তাদের মাথা আলাদা করে রক্ত পান করছে।। অনেকে বলতেছে এই প্রানী টি রক্তচোষা আবার কেউ বলতেছে ভ্যাম্পায়ার।। আবার বিশেষজ্ঞ গন বলতেছে এই জন্তুটি অন্য জগত থেকে এসেছে।। বিজ্ঞানীরা বলতেছে এই জন্তুটি হয়তো অন্য গ্রহ থেকে আসা এ্যলিয়্যান।। তান্ত্রিকদের মতে এই জন্তুটি নেকরে মানব কিন্তু সঠিক তথ্য আজ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি।। তোবে এই বিষয়ে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিবে বলে জানা গেছে।। আজকের খবর এই পর্যন্ত।। পরবর্তী খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।।
এতোক্ষন টিভিতে রাত দশ টার খবর শুনছিলেন আজাদ সাহেব।। খবর শুনা শেষ করে তিনি নিজে নিজেই বলতে লাগলেন এ আবার কোন জন্তু এলো পৃথিবীতে।। আর এরকম কান্ড তো আমি দেখেছি চল্লিশ বছর আগে।। তাহলে কি সেই জন্তু.. হটাৎ পিছন থেকে আজাদ সাহেবের ছেলে ইরফান এর ডাক এল,
ইরফান:-বাবা তুমি এখন ঘুমাও নি।। এতো রাত অবদি জেগে আছ কেন।।
আজাদ:- এইতো বাবা ঘুমাতে যাব এখন।। তা তুমি এতো রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলে।।
ইরাফান:-এইতো বাবা বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি তে গেছিলাম।।
আজাদ:-ভাল।।কিন্তু বাইরের খবর কিছু রাখ নিজের কাছে।।
ইরফান:-বাইরের খবর।। কি হয়েছে বাবা।।
আজাদ:-পৃথিবীতে কোনো এক অজানা জন্তু বের হয়েছে মানুষের মাথা আলাদা করে সেই মানুষের শরিরের সব রক্ত খেয়ে নিচ্ছে।। আর তুই এতো রাতে বাইরে আছিস তোর যদি কিছু হয়।।
ইরফান:-বাবা আমি এখন বড় হয়েছি।। আর আমার কিছু হবে না।। তোমার দোয়া আছে তো।।
আজাদ:-কিন্তু বিপদ কোন পাশ দিয়ে এসে দারায় বলা যাবে না।। তুই সাবধানে থাকিস।।
ইরফান:-ঠিকাছে বাবা।। এখন যাও অনেক রাত হয়েছে তুমি ঘুমিয়ে পর।। এই বলে ইরফান তার
ঘরে চলে গেল।।
আর আজাদ সাহেবও ঘরে চলে গেলেন।। ঘরে গিয়ে তিনি মুচকি হাসি দিয়ে বললেন ইরফান বাবা আমি জানি তো তোর কিছু হবে না।। তোর কাছে এমন এক শক্তি আছে যা তোকে রক্ষা করবে।।
এই বলে আজাদ সাহেব ঘুমিয়ে পরলেন।।
সকালে চেঁচামেচি তে ইরফান এর ঘুম ভাংগে।। সে ঘুম থেকে উঠেই বাইরে গেল।। বাইরে গিয়ে ইরফান দেখল তার বাবা চেয়ারে বসে আছে আর কিছু লোক এক জায়গায় ভির করে দারিয়ে আছে।। ইরফান তার বাবার কাছে গিয়ে বলল,
ইরফান :-বাবা কি হয়েছে এখানে।। এতো ভির কিসের।।
আজাদ:-আমাদের বাসার কাজের লোকদের কি অবস্তা হয়েছে দেখ।। সেই জন্তু এই পর্যন্ত এসে গেছে।। কাজের লোকদের মাথা আলাদা করে দিয়ে শরিরের সব রক্ত খেয়ে নিয়েছে।।
ইরফান:-কোন এই জন্তু যে ভয়ংকর ভাবে মানুষ কে মারছে।।
আজাদ:-জানিনা।।তোবে খুব শীগগির জানা যাবে।।
ইরফান:-কিন্তু বাবা এই জন্তুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো কি কোনো উপায় নেই।।
আজাদ:-নিশ্চই আছে।। তোবে তুই সঠিক সময় জানতে পারবি।।
ইরফান:-বাবা আমি জেনে কি করব।। যারা এর বিরুদ্দ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাদের জানতে লাগবে।।
আজাদ:-তারা কোনো দিন জানতে পারবে না আর এই সমস্যার সমাধানও করতে পারবে না।।
ইরফান:-তাহলে পৃথিবীর মানুষ এই সমস্যা থেকে বের হবে কি ভাবে।।
আজাদ:-এই সমস্যা এক জন পারবে সমাধান করতে।।
ইরফান:-কিন্তু সে কে?? আর কোথায় আছে সে?? সে কি দেখে না পৃথিবীর এই অবস্তা।।
আজাদ সাহেব এবার একটু হেসে বললেন
আজাদ:-দিন খন চলে যাচ্ছে, সময় ফুরিয়ে আসছে, সে এবার তার লক্ষে পৌছাবে।।
সমস্যার সমাধান করবে যে তোমার মধ্যেই আছে সে পূর্নতিথীতে জাগবে সে।।
ইরফান:-বাবা কি বলছ এসব আমি কিছু বুঝতে পারছি না।।
আজাদ:-সময় হলে সব বুঝবি।। কিন্তু হ্যা এখন থেকে তুই একটু সাবধানে থাকবি।। সেই জন্তু আশেপাশেই রয়েছে।। কখন কি করে কিছু বলা যাবে না।।
ইরফান:- আচ্ছা বাবা।। এই বলে ইরফান ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়।। এর পর সকালের
খাবার খেয়ে কলেজে চলে যায়।। আর বাড়িতে বসে আজাদ সাহেব ভাবে ইরফানের বয়স পূর্ন হতে
বেশি দিন নেই।। সামনে পূর্নতিথীতে তার বয়স পূৃৃর্ণ হবে।। তার আগেই আমাকে তার কাজ সব তাকে বুঝিয়ে দিতে লাগবে।।
আরো গল্প পড়তে লিংক এ ক্লিক করুন……